ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ ঢাকা লিগের ব্যস্ততা কাটতে না কাটতেই আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে কাতার এয়ার লাইন্সে করে মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে দেশ ছাড়বে তামিম-মুশফিকরা। তবে পুরো দল একসঙ্গে যাচ্ছে না। দুই ভাগে ভাগ হয়ে জিম্বাবুয়েতে যাবে বাংলাদেশ। টেস্ট ম্যাচ দিয়ে সিরিজ শুরু হওয়ার কারণে টেস্ট স্কোয়াডে থাকা ১৮ ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা প্রথম দফায় জিম্বাবুয়ে যাচ্ছেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা পরের দফায় যাবেন। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জুলাই রওয়ানা হবেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি জিম্বাবুয়ে যাবেন। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাতে কোয়ারেন্টিন করতে হলেও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দলকে কোনও কোয়ারেন্টিন করতে হচ্ছে না। পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই অনুশীলনের সুযোগ পাবে সফরকারীরা। এজন্য অবশ্য করোনার সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। তাই রোববার বিসিবিতে এসে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন সফরে ডাক পাওয়া সদস্যরা। আগেই একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। শুরুতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে মাহমুদউল্লাহ থাকলেও তামিম-মুশফিকের ইনজুরির কারণে টেস্টে মাহমুদউল্লাহকে যুক্ত করা হয়েছে। তাই প্রথম দফায় সবমিলিয়ে ১৬ জন ক্রিকেটার নিয়ে মঙ্গলবার দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ। পৌঁছানোর পর দিনই অনুশীলন করবে তামিমরা। এরপর ৩ ও ৪ জুলাই সফরকারীরা দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ৫ ও ৬ জুলাই অনুশীলন করে ৭ জুলাই মাঠে গড়াবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। এরপর ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে তিন ওয়ানডে। ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। সব ম্যাচ হবে হারারেতে।
টেস্ট স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম অনিক, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।