ঢাকা অফিস ॥ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মানসম্মত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে বলেছেন, দারিদ্র্যের সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গতকাল শনিবার এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার ও পছন্দই মূল কথা: প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার প্রাধান্য পেলে কাক্সিক্ষত জন্মহারে সমাধান মেলে’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রজননস্বাস্থ্য প্রত্যেক নর-নারীর অধিকার। নিরাপদ মাতৃত্ব ও প্রসূতি সেবা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য পরিচর্যা, নারীদের সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্তসহ নারীর যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা। পরিকল্পিত পরিবার একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। পরিবারের আকার ছোট হলে তা পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ সময় দেশে প্রজননস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি আরো জোরদার করতে হবে এবং চলমান কর্মসূচিগুলোতে উদ্ভাবনীমূলক কর্মকান্ডের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরো সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আবদুল হামিদ বলেন, দারিদ্র্যের সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সীমিত রেখে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষার হার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। মহামারির এ সময়ে অধিক সন্তানের জন্মরোধ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে সক্ষম দম্পতিদের নিকট পরিবার পরিকল্পনা সেবা সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। দেশে বিদ্যমান সেবা অবকাঠামোসমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মানসম্মত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। তিনি ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।