নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখেই এবারকার মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচী পালিত হবে। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কুষ্টিয়াবাসীর অবদান দেশের মানচিত্রে স্বর্ণাক্ষরে রেখা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের সকলকে দেশ মাতৃকায় দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২১ এর প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ খান, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাজী রফিকুল আলম টুকু, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মিন্টু, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার তৌহিদী হাসান, রাইফেল ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এস এম কাদেরী শাকিল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি মোসাদ্দেক আলী মনি প্রমুখ।
সভার কার্যবিবরনী পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মৃনাল কান্তি দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সিরাজুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক করোনার কারনে গত বছর বিজয় দিবসের কর্মসুচী পালন করা সম্ভব হয়নি। এবার আপনাদের সহযোগিতায় বিজয় দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে বিভিন্ন কর্মসুচী পালিত হবে। যাতে আপনাদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহন কামনা করি। জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের গৌরব গাঁথা বিষয়। দীর্ঘ ৯মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে এই মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ফলে আমরা দেশকে যেমন স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আনতে পেরেছি পাশাপাশি আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর পথ সুগম হয়েছে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশকে পেয়েছি, যারা এই দেশের সূর্য সন্তান। দেশ ও জাতি তাদের কখন ভুলবে না। তিনি বলেন, আমাদের বিজয়কে ধরে রাখতে হবে। দেশের উন্নয়নের পথকে মসৃন করতে হবে। সরকার যেভাবে দেশের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে আমাদের সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির সুর্য সন্তান। তাদের ত্যাগ ও তীতিক্ষার বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন হয়েছি আমাদের স্বাধীনতার অর্জনকে ধরে রাখতে হলে দেশের অথনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, এবার কুষ্টিয়ার জাকজমকের সাথে বিজয় দিবস পালিত হবে।
Leave a Reply