কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউপির ঝাউদিয়া গ্রামের মুন্নীর নিজ বাড়িতে সোমবার ২৫ এপ্রিল রাতে একটি হুইল পৌঁছে দেওয়া হয়। আর পাঁচজন স্বাভাবিক মেয়ের মতো ঝাউদিয়ার মুন্নীও আদরে আবদারে স্বামীর সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিল। বধু বেশে গিয়েও ছিলো স্বামীর ঘরে। কিন্তু বিধি হয়ে বসলেন বাম! শ্বশুরালয়ে মুন্নী হঠাৎই জ্বর অনুভব করেন। জ্বর থেকেই সমস্ত শরীর ব্যাথা। তারপর ধীরে ধীরে হাত-পাসহ সমস্ত শরীর হয়ে ওঠে অবশ। মুন্নী হারিয়ে ফেলে তাঁর স্বাভাবিক চলনশক্তি। দেখানো হয় বিভিন্ন ডাক্তার-কবিরাজ। তাতেও কোনো সুফল মেলে না। আরও অবনতি হতে থাকে তাঁর শারীরিক অবস্থার। এতে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজনের অবহেলা দিন দিন বাড়তে থাকে। তারা শুনাতে থাকে নানারকম কটুকথা। বাধ্য হয়ে মুন্নীকে চলে আসতে দরিদ্র বাবার ঘরে। এসব ছিলো বছর দশেক আগের ঘটনার বিবরণ। আর তখন থেকেই সমাজের কাছে মুন্নীর পরিচয় হয় সে প্রতিবন্ধী। এরপর থেকেই দরিদ্র পরিবারের বোঝা হয়ে বেঁচে আছে চলনশক্তিহীন মুন্নী। তাঁকে আনা- নেওয়া করতে প্রয়োজন হয় অন্তত দুজন মানুষের। কিন্তু একটা মাত্র হুইল চেয়ার হলেই লাঘব হয় তাঁর কষ্টের। সে নিজেই নিজের চলাফেরায় কিছুটা সহযোগিতা পারে। এমনই সংবাদ আসে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সংবাদকর্মী শাহারিয়া ইমন রুবেলের কাছে। তিনি বিষয়টি জানার পর সময়ের কাগজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুন্নবী বাবুসহ তাদের কয়েকজন সহকর্মীদের নিয়ে দিশা সংস্থায় আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে একটি হুইল চেয়ার মুন্নীর নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার ও সংবাদকর্মী অর্পণ মাহমুদ, শাহারিয়া ইমন রুবেল, আবু মনি সাকলায়েন এলিন, সামসুল হক রুবেল, আব্দুস সালাম, তাসরিক আহম্মেদ, স্থানীয় আসাদ প্রমুখ। এছাড়াও এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারে ঈদের পোশাক পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন পরিমল শপিং কমপ্লেক্সের কালার্স ভিউ, নিউ চয়েস ও সোহা ফ্যাশন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply