1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটি টিকার তালিকায় বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

ঢাকা অফিস ॥ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নতুন করে ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে ১ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে, সেই তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশের নাম। গত সোমবার হোয়াইট হাউস বিশ্বজুড়ে করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিজের মজুত থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় এবং সরাসরি সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা বণ্টনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ওই পরিকল্পনায় বিশ্বের কোন দেশে কত টিকা পাঠানো হবে, সে তথ্য দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে আট কোটি টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথম দফায় আড়াই কোটি টিকা সরবরাহের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। এই প্রতিশ্রুতির বাইরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ফাইজার থেকে ৫০ কোটি ডোজ টিকা কিনবেন বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে এসব টিকা বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হবে। ৩ জুন হোয়াইট হাউস আড়াই কোটি টিকা বণ্টনের ঘোষণা দিয়েছিল। তাতে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ৭০ লাখ টিকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় ঘোষণা করা সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ টিকা বিতরণ হবে কোভ্যাক্সের আওতায়। এর মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ, এশিয়ার দেশগুলোর জন্য প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ এবং আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য ১ কোটি ডোজ টিকা বরাদ্দ রয়েছে। আর ১ কোটি ৪০ লাখের মতো টিকা ‘আঞ্চলিক অগ্রাধিকারের’ ভিত্তিতে সরাসরি দেওয়া হবে বিভিন্ন দেশে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনামসহ ৩০টি দেশ। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। তবে এসব টিকা সরবরাহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে টিকাসংক্রান্ত সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ তথ্যগুলো পরস্পর ভাগাভাগি করতে হবে। উপযুক্ত তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভাষাগত জটিলতার মতো বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। ড়যুক্তরাষ্ট্র সে দেশের মজুত থেকে যে টিকা সরবরাহ করবে, তা হবে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত। তবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলে এবং সবুজসংকেত পেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকাও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com