ঢাকা অফিস ॥ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস ছিল ৪ জুলাই। এদিন সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দেশটির কোথাও হয়েছে প্যারেড, কোথাও আতশবাজি ফোটানো হয়েছে। আবার কোথাও চলেছে গুলি। যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৫০ জন নিহত হয়েছেন গুলিতে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, ওই তিন দিনে কমপক্ষে ৪০০টি স্থানে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, তথ্য আরও হালনাগাদ হবে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার থেকে গোলাগুলির ঘটনা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগোয় সম্প্রতি সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে। ২০২০ সালে সেখানে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৭৭৪টি। বিগত দুই দশকের মধ্যে এমন সহিংসতার বছর গেছে মাত্র দুটি। এ ছাড়া সংখ্যা বিবেচনায় শিকাগোর হত্যাকা-ের পরিমাণ নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মোট হত্যাকা-ের সংখ্যার সমান। এ শহরে ৪ জুলাই মোট ৮৮ জনকে গুলি করা হয়েছে। এতে মারা গেছেন ১৪ জন। ছুটির দিনে হত্যাকা-ের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে শিকাগোয়। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে সিটি কাউন্সিল নতুন উদ্যোগও নিয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিকাগো পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ডেভিড ব্রাউন। সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে নিউইয়র্কেও। সেখানকার পুলিশ দপ্তর জানিয়েছে, এ শহরে শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত ২১টি স্থানে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহত হয়েছেন ২৬ জন। যদিও এ সংখ্যা গত বছরের ঠিক এই সময়ের তুলনায় কম। গত বছর ঠিক এই তিন দিনে হতাহত হয়েছিলেন ৩০ জন, গুলি ঘটনা ঘটেছিল ২৫টি স্থানে। কিন্তু নিউইয়র্কে ৪ জুলাই গুলির ঘটনা বেড়েছে। এদিন ১৩টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। হতাহত হয়েছেন ১৩ জন, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছর এই দিনে গুলির ঘটনা ঘটেছিল আটটি। হতাহত হয়েছিলেন আটজন। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনা এ বছর নিউইয়র্কে গুলির ঘটনা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর গুলির ঘটনা ঘটেছে ৭৬৭টি। আর হতাহত হয়েছেন ৮৮৫ জন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply