ঢাকা অফিস ॥ রক্ত পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ টিকার কার্যকারিতা যাচাইয়ের একটি আগাম পদ্ধতি উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। বৃহস্পতিবার তারা এই পদ্ধতি উদ্ভাবনের খবর প্রকাশ করে বলেন, কাদের ওপর টিকা কতটা কার্যকর হতে পারে, তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ের চেয়ে দ্রুত জানা সম্ভব হবে তাদের এই পদ্ধতিতে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ভ্যাক্সজেভরিয়া নেওয়ার পর পরীক্ষামূলক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের রক্তে ভাইরাস-প্রতিরোধক অ্যান্টিবডির ঘনত্বের সীমা নিয়ে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। টিকার পরীক্ষামূলক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা পরে উপসর্গসহ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা হননি, তাদের রক্ত পরীক্ষা করে গবেষকরা একটি মডেল তৈরি করেছেন। তাদের বিশ্বাস, অন্য টিকাগুলো কতোটা শক্তিশালী হবে, সেটাও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই মডেলের ওপর ভিত্তি করে বলা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা তাদের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘যেখানে বিস্তৃত পরিসরে পরীক্ষামূলক ধাপগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব না সেখানে এই গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে টিকার কার্যকারিতার একটি হিসাব বের করা সম্ভব।’ গবেষণাপত্রটি একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। তবে অক্সফোর্ডের গবেষকরা বলেছেন, তাদের এ মডেল অনুমোদন করার জন্য আরও কাজ করা দরকার, বিশেষ করে ভাইরাসের অতিসংক্রামক নতুন ধরনগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। গবেষকরা জানিয়েছেন, কোষের প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়ার ওপর তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাননি, যা যে কোনো সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টিবডির পাশাপাশি মানবদেহের অন্যতম একটি প্রতিরোধমূলক অস্ত্র। ওই প্রতিক্রিয়ার ওপর গবেষণা পরিচালনা আরেকটু কঠিন বলে তাদের ভাষ্য। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক ও অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের শীর্ষ অনুসন্ধানকারী অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ বাড়ানো খুবই জরুরি, কিন্তু নতুন টিকার অনুমোদন পাওয়ার জন্য অনেক মাস পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়। আমরা আশা করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং উদ্ভাবকদের তুলামূলক তথ্যউপাত্তের ব্যবহার এই প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করবে।’
You cannot copy content of this page
Leave a Reply