বিনোদন প্রতিবেদক ॥ বুক ভরা অভিমান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে পোস্ট করেছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী? সোমবার কে কে-এর কনসার্ট প্রসঙ্গে নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেছিলেন গায়ক! সেখানে কেকে-র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাকে। বাংলার একাধিক শিল্পীর নাম উল্লেখ করেছিলেন ভিডিওতে। ঠিক তার একদিন পরেই কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আকস্মিক প্রয়াণ হয় কেকের। বলিউডের জনপ্রিয় গায়কের ম্তৃ্যুর পর একাংশ নেটিজেনের রোষের মুখে রূপঙ্কর। গায়কের মন্তব্য নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চার শেষ নেই। এ প্রসঙ্গে ইমন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, একজন শিল্পীর উপার্জন, জনপ্রিয়তা নিয়ে বোধহয় এভাবেও কটাক্ষ করা ঠিক নয়। তার মতে শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌজন্য, সৌহার্দ্য, শ্রদ্ধা থাকাটা জরুরি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘কেকে যদি এ ভাবে না-ও চলে যেতেন, তা হলেও আমি রূপঙ্করদার বক্তব্যে এতটাই বিব্রত হতাম।’ এবার রূপঙ্ককের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। তার কথায়, ‘একজন বাঙালি শিল্পী তার অভিমানের জায়গা থেকে একটা কথা বলল। আর আমরা সেটাকে ধরতেই পারলাম না। অন্য ব্যাখ্যা করছি!’ পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, রাজার মতো মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। এমন মৃত্যুই তো চায় সকলে। শিল্পীরা জনসমুদ্রে মিশে যেতে চায়। ভিড়ের চাপে মরে যেতে চায়। ওখানেই তো শিল্পীর সার্থকতা। শ্রোতাদের ভিড়ে একজন শিল্পী মিশে গিয়ে জীবনের শেষ গান শোনাচ্ছেন, এটাই শিল্পীর স্বপ্ন। আবেগে ভেসে গিয়ে নচিকেতার মন্তব্য, গত ৩০ বছর ধরে এই জনসমুদ্রে মিশে গিয়েছেন তিনি। বলেছেন, দুর্ভাগ্য, কেকে-র মতো মৃত্যু হয়নি। বলিউড গায়কের মৃত্যুতে মর্মাহত তিনি। বাঙালিরা যে তাকে এতটা ভালোবাসেন, সেইটা দেখে ভালো লেগেছে তার। তিনি নিজেকে কেকে-এর ভক্ত বলে দাবি করেছেন। নচিকেতা জানিয়েছেন, রূপঙ্কর যাদের হয়ে কথাটা বলল, আজ তারাই ওর পাশে নেই! এই বিষয়টাকে ভালো চোখে দেখেননি তিনি। সাফ বলেছেন, রাঘব, ইমনদের তো ওর পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। যা একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাতে রূপঙ্কেরর কোনও দোষ নেই। হ্যাঁ, আমি নচিকেতা বলছি। আমি রূপঙ্করের পাশে আছি। ‘বাঙালিকে সারা ভারত শোনে। শুধু বাঙালিই সেটা বুঝতে পারে না। আর সেই কথাটাই রূপঙ্কর বলতে চেয়েছিল’, মন্তব্য নচিকেতার। তার কথায়, রূপঙ্কর বাগচী বাঙালি সংস্কৃতির কথা বলতে চেয়েছিল। অভিমানের জায়গা থেকে এ কথা বলেছেন। কোনও ভাবেই কেকে-কে অপমান করতে চাননি তিনি।
Leave a Reply