1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বাড়লে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ৯৩ মোট ভিউ

 

ঢাকা অফিস ॥ দেশের চলমান লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করার ঘটনা ঘটছে। এতে করে রোগীর সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায় তাহলে আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন অধিদপ্তরে মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। জানুয়ারিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৬২৯ জন। এপ্রিলে সেটি লাখ ছাড়িয়েছিল। জুন মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জনে থেমে ছিল, আর জুলাইয়ের মাত্র সাত দিন অতিক্রান্ত হচ্ছে। সাত দিনের মধ্যে ছয় দিনে ৫৩ হাজার ১৪৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নাজমুল ইসলাম বলেন, সংক্রমণের উচ্চমুখী এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, জুলাইয়ে রোগী সংখ্যা এপ্রিল ও জুন মাসকে ছাড়িয়ে যাবে। লকডাউন বা বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণে রোগীর সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে মৃতের সংখ্যা ১০০ এর ওপরে রয়েছে। গত এক সপ্তাহের চিত্র যদি আমরা দেখি, ৩০ জুন ১১৫ জন মারা গিয়েছিলেন, ১ জুলাই ১৪৩ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন, ৩ জুলাই ১৩৪ জন, ৪ জুলাই ১৫৩ জন, ৫ জুলাই ১৬৪ জন এবং ৬ জুলাই ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চাশোর্ধদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি। এর আগে ঢাকা বিভাগের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি থাকতো। কিন্তু গত কিছু দিন ধরে দেখেছি রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে মৃত্যুর হার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গেছে। অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনায় রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল করা হবে। একইসঙ্গে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো ও জনবল পুনর্বন্টন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই হাসপাতালগুলোতে কীভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায়, জনবল কীভাবে পুনর্বণ্টন করা যায়, আমরা সে দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল করা যায় কিনা সে বিষয়টি আমরা যাচাই বাছাই করছি। প্রয়োজন হলে ফিল্ড হাসপাতাল করবো। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশে ৫০ থেকে ৭০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। করোনাকালে সেটি আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে এবং রোগী সংখ্যা যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সেটি সামাল দেওয়া আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Theme Customized By Uttoron Host

You cannot copy content of this page