ঢাকা অফিস ॥ করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রায় দেড় বছর ধরে। এ অবস্থায় আগামী ৩০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও চলমান মহামারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে করোনার ঊর্ধ্বগতিতে আগামীকাল সোমবার থেকে আসছে কঠোর লকডাউন। এ অবস্থায় ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে। আজই (শুক্রবার) ২১ শতাংশের বেশি ছিল। ৫ শতাংশের নিচে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। ৩০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। তবে পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানাবেন। এজন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।’ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৪৭ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৫৩টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ১১৯টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সুযোগ নেই। আমরা কাউকে ঝুঁকির মধ্যে দেখতে চাই না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে।’ অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘সরকারের ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। সরকারের নির্দেশনা পেলেই প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে। সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।’ এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামীকাল সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি কারণ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হতে পারবেন না। বিধিনিষেধের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হবে। কঠোর লকডাউনের সময় জরুরি পণ্যবাহী বাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যববহৃত যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে। গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply