ঢাকা অফিস ॥ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ব্যাপক হারে টিকাদানের ফলে মহামারী করোনায় মৃত্যু কমলেও শীতে পশ্চিমা বিশ্বে আবারও হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রায় দুই মাস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এই শীতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা তৃতীয় ঢেউ হিসেবে চূড়ান্ত আঘাত হানতে পারে আগামী মার্চ নাগাদ।
তারা বলছেন, এসব দেশ থেকে প্রবাসীরা শীতে বেড়াতে আসে। বাংলাদেশে এখনো খুব বেশি মানুষ টিকার আওতায় আসেনি। উঠে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। শীতে বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়েছে। এসব কারণে আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে করোনা পরিস্থিতি। দ্রুত টিকার কভারেজ না বাড়লে এখানে তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাতে প্রচুর প্রাণহানিরও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে সবশেষ ২০ নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৭৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত এক দিনে করোনায় কোন মৃত্যু নেই। আগের দিন মারা গিয়েছিলেন সাতজন।
নিরাপদে থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার সঙ্গে সঙ্গে টিকা নিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরের শীতকালে করোনার প্রকোপ মোটামুটি সহনীয় পর্যায় থাকলেও এ বছরটা কেমন যাবে তা কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে সময়টা আমাদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় আরামের ঘুম হারাম করে দিতে পারে করোনার ছোবল। গত দুই এক মাস ধরে করোনায় সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা যে কোন সময় মাথা চাটা দিয়ে যে উঠবে না তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।
প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত নিজের জীবনের চেয়ে অমূল্য সম্পদ আর দ্বিতীয়টি নেই। তাই আমাদের সকলের প্রধানতম দায়িত্ব নিজের প্রতি যতœবান হওয়া। প্রত্যেককে নিজের ও নিজের পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার আমার একটুখানি অবহেলায় ঝরে পড়তে পারে নিজের কিংবা প্রিয়জনের জীবন। আর তাই স্বাস্থ্যবিধি পালনে ন্যুনতম ছাড় দেয়া যাবে না। সরকার কিংবা সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আমাদের সতর্ক ও সচেতন করতে পারেন। কিন্তু বাঁচার জন্যে তথা করোনা প্রতিরোধে যা যা করণীয় তা নিজেদেরই করতে হবে।
Leave a Reply