ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ চোটের সঙ্গে সখ্য দীর্ঘদিনের। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর খেলতে পেরেছেন কম, বাইরেই থেকেছেন বেশি। এর প্রভাব পড়েছে পারফরম্যান্সে, আত্মবিশ্বাসে। তবে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সামর্থ্য নিয়ে সংশয় নেই রাসেল ডমিঙ্গোর। বাংলাদেশের প্রধান কোচের বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নিজেকে ফিরে পাবেন তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ২০১৭ সালের এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাইফের। সেই থেকে এই সংস্করণে বাংলাদেশের ৩৪ ম্যাচের ১৭টিতে খেলতে পেরেছেন তিনি। সেই বছর অক্টোবরে ওয়ানডে অভিষেকের পর এই সংস্করণে বাংলাদেশের ৫০ ম্যাচের কেবল ২৪টিতে ছিলেন সাইফ। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর প্রায় ২ বছরে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে খেলেছেন কেবল ৪টি ম্যাচ। গত মার্চে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টিতে সাইফ ছিলেন খরুচে। হ্যামিল্টনে ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। নেপিয়ারে পরের ম্যাচে ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে উইকেট পান একটি। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ছিলেন না একাদশে। লম্বা সময় বাইরে থাকায় আত্মবিশ্বাসে চোট লাগা অস্বাভাবিক নয়। সেটা মেনে নিয়েই সাইফের স্বরূপে ফেরার অপেক্ষায় ডমিঙ্গো। শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানালেন, আশা নিয়ে এই অলরাউন্ডারের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। “সাইফ উদ্দিনের ছোটখাটো কিছু চোট সমস্যা ছিল। সেগুলো তাকে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। আত্মবিশ্বাসে হয়তো একটু ঘাটতি আছে তবে সে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আগেও বিশেষ করে দেশের মাটিতে সে ভালো করেছে। আমরা নিশ্চিত সে এই সিরিজে ছন্দে ফিরবে।” সত্যিকারের পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে হাহাকার বেশ পুরনো। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট হেরে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেছিলেন, বিদেশে ভালো করতে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার তার দলে খুব প্রয়োজন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা শহিদুল ইসলামকে ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কা সিরিজে। তাকে গড়ে তুলতে চান ডমিঙ্গো। যেন জায়গার জন্য লড়াই করতে হয় সাইফকে। “আমরা এখনও একজন সত্যিকারের অলরাউন্ডার খুঁজছি। সাইফ উদ্দিন মূলত একজন বোলার যে নিচের দিকে ব্যাটিং করতে পারে। এখনও সে প্রথম ছয়ে ব্যাটিংয়ের মতো নয়। শহিদুল ইসলাম একজন ব্যাকআপ ক্রিকেটার, যে সাইফ উদ্দিনকে কিছুটা লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে।”
You cannot copy content of this page
Leave a Reply