ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ একদিনে দুই ঐত্যিহাবাহী দুই ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডান ধরাশয়ী। সেমবার সকালে বিকেএসপিতে খেলাঘর সমাজ কল্যাণের বিপক্ষে হেরেছে মুশফিকুর রহিমের আবাহনী। আর বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের মোহামেডানকে হারিয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুল-নাসির হোসেনদের নিয়ে গড়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে আগে ব্যাট করে শেখ জামাল নির্ধারিত ২০ ওভারে করেছিল ৫ উইকেটে ১৬১। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান করতে পারে মোহামেডান। ফলে ১৬ রানের দুর্দান্ত জয় পায় আশরাফুল-নাসিররা। যদিও তাদের এই জয়ের নায়ক নুরুল হাসান। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় এই উইকেটকিপার ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় খেলেছেন হার না মানা ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেখ জামালের টপ অর্ডারের ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। মাত্র ৫৬ রানে শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। সেখান থেকে ম্যাচে ফেরায় অধিনায়ক নুরুলের ঝড়ো ইনিংস। তার ৬৬ রানের কার্যকরী ইনিংসের সঙ্গে অভিজ্ঞ জিয়াউর রহমানের ১৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংসটি দলের স্কোরকে বড় করতে সহায়তা করেছে। তবে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল (১৫) ও নাসির হোসেন (৯)। ব্যাটিংয়ে আবার ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। তবে তার আগে বোলিংয়ের সাফল্য ধরে রেখেছেন তিনি। এদিন ১২ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। এ ছাড়া আবু হায়দার ২টি ও আসিফ হাসান নিয়েছেন একটি উইকেট। ১৬২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোহামেডান সমর্থকদের হতাশ করেছে দলের ব্যাটিং। নাদিফ চৌধুরী ৫৭ রানের ইনিংসটি না খেললে একশোর নিচে অলআউট হয়ে যেতে পারতো মোহামেডান! পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবেই ব্যর্থ হচ্ছেন সাকিব। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটসম্যান সাকিবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজও ফিরেছেন ২ রান করে। সাকিব-মাহমুদুল-পারভেজ-শামসুরদের ব্যর্থতায় মোহামেডান ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে থেমে যায়। মোহামেডানের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন মোহাম্মদ এনামুল। এই অফস্পিনার ৩ ওভারে ১৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান নিয়েছেন ২ উইকেট।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply