1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সমন্বিত পরীক্ষা সম্পন্ন দৌলতপুর সীমান্ত থেকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার দৌলতপুরে পুরাতন ভবন ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকের হাট মিরপুরের নওয়াপাড়া বাজারে এসকে চঞ্চলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন খোকসায় সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মাসুদ’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত কুমারখালীতে অক্সিজেন লাগাতে দেরি, রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে নার্সকে মারপিটের অভিযোগ কুমারখালীতে সরকারি গাছ কাটলেন ইউপি সদস্য কুষ্টিয়ায় জাগ্রত সাহিত্য ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসপি খাইরুল আলম : সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সৃষ্টিশীল মানুষকে সম্মান করতে হবে ভেড়ামারায় আ.লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, ইউপি সদস্যসহ আহত ২ দৌলতপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

সেচ খরচে সর্বোচ্চ বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৯ মে, ২০২১
  • ৫৬৫ মোট ভিউ

কৃষি প্রতিবেদক ॥ অপরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে ক্রমেই নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে গভীর নলকূপেও ঠিকমতো উঠছে না পানি। বোরো মৌসুমে সেচ প্রকল্পগুলো চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। পানির দু®প্রাপ্যতায় বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের সেচ খরচ। গত ১০ বছরে বোরো সেচে কৃষকের খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আর এ খরচ বিশ্বে সর্বোচ্চ! কৃষক সেচের পেছনে মোট উৎপাদন ব্যয়ের ৬২ শতাংশ অর্থ খরচ করে থাকে। সেচ খরচে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। তারা সেচের জন্য ২৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনাম সেচের পেছনে খরচ করে মাত্র ১৩ শতাংশ। সেচ সংকটের মধ্য দিয়েই সারা দেশে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুম। বিএডিসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রায় চার লাখেরও বেশি অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে আছে। ৪৮ জেলার ২১৩ উপজেলায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। ১৭ লাখ শ্যালো টিউবওয়েল কার্যকর। এসব টিউবওয়েল ২২ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচ থেকে পানি ওঠায়। কিন্তু এখন মাটির ২৪ ফুট নিচে গিয়েও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় কৃষক পাঁচ ফুট মাটি গর্ত করে সেখানে শ্যালো টিউবওয়েল বসাচ্ছে। এরপরও অনেক জায়গায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ইউনিসেফ হুঁশিয়ার করেছে, বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিরাপদ পানি সংকটে পড়বে কয়েক কোটি মানুষ। বিশেষ করে বন্যা ও খরাপ্রবণ এলাকার কয়েক কোটি শিশু পানি সরবরাহ এবং নিরাপদ পানি সংকটের মুখোমুখি হবে। বিএডিসির বাংলাদেশ ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক দশক আগেও প্রতি হেক্টরে বোরো আবাদে সেচের খরচ ছিল চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু গত মৌসুমে তা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। জ্বালানি খরচসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যয় স্থির থাকলে ২০২০ সালে তা ২০ হাজার ছাড়াবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক কেজি বোরো উৎপাদনে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার লিটার পানি লাগে। এই পানি মাটির গভীর থেকে ওঠাতে প্রতি বিঘার জন্য প্রায় এক হাজার ৫০০ টাকা মালিকের খরচ হয়। কৃষকের খরচ হয় ২৮ ভাগ অর্থাৎ বিঘায় চার থেকে পাঁচ মণ ধান। কিন্তু প্রতিবছর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে সেচের খরচ বাড়ছে। এতে ব্যবহার করতে হয়  অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বা ডিজেলের। ফলে প্রতি হেক্টরে সেচ বাবদ কৃষকের শতকরা ১৫-২০ শতাংশ খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Theme Customized By Uttoron Host

You cannot copy content of this page