ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ ঘোলা পানি স্বচ্ছ হতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে টোকিও অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ। নাগরিকদের সিংহভাগ যদিও আয়োজন স্থগিত বা বাতিলের পক্ষে, তবুও থেমে নেই আয়োজকদের তৎপরতা। আগেই বলা হয়েছিল পর্দা ওঠানোর আগে নিশ্চিত করা হবে জাপানিজ নাগরিক আর অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। এবার সে পথে আরও একধাপ এগুলো জাপানিজ অলিম্পিক কমিটি। মঙ্গলবার আজিনোমোতো ন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টারে অ্যাথলেট-কোচিং স্টাফ আর সংশ্লিষ্টদের মিলিয়ে মোট ২০০ জনের ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন করেছে জেওসি। মিতসুগি ওগাতা বলেন, অ্যাথলেটদের পরিবার, তারা যাদের সংস্পর্শে আসবে, কিংবা অলিম্পিক ভিলেজে তারা যাদের সঙ্গে মিলিত হবে- সবার নিরাপত্তার জন্যই টিকা প্রদান করা হয়েছে। এটা কেবল জাপানের বা বিদেশি খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্য নয়, সার্বিকভাবে জাপানের সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষাও নিশ্চিত করবে। অবশ্য ভ্যাকসিন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জোড়াজুড়ি নেই। অ্যাথলেটরা সম্মত হলেই কেবল আনা হবে ভ্যাকসিনেশনের আওতায়। যে কারণে টিকা গ্রহণকারীদের নামও প্রকাশ করেনি জেওসি। এদিকে, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে জাপানের মাটিতে পা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। টোকিওর অদূরবর্তী নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওটায় পাড়ি দেবে এই দল। অজিদের নারী সফটবল দলের ২০ খেলোয়াড় আর ১০ স্টাফ মেম্বারদের সকলেই দেশ থেকে নিয়ে এসেছেন ভ্যাকসিন। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ছাড়াও আরও অনেক দেশের অ্যাথলেটরাও এসেছেন টিকার আওতায়। এ ব্যাপারে উৎসাহিত করলেও কোনো প্রকার নাক গলাতে চায় না আয়োজকরা। মিতসুগি ওগাতা বলেন, অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাদের নিজ দেশের সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। তারা নিজেদের মতো করে একটা নিরাপত্তা বলয় মেনে চলছেন। সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের পূর্বশর্ত হলেও এর প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৩ জুন পর্দা উঠবে স্থগিত ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply