ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে হাইভোল্টেজ ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে ফ্রান্স ও পর্তুগাল। কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে মুখোমুখী হয় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। ড্র করায় ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে ফ্রান্স। গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে নকআউটে জার্মানিও। ৩ ম্যাচে সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় পর্তুগাল, তবে সমীকরণ মিলিয়ে নকআউটে যাচ্ছে তারাও। এদিন খেলার শুরু থেকে বল দখলে পর্তুগিজরা একটু এগিয়ে ছিল, তবে নিশ্চিত সুযোগ মিলছিলো না। খেলার ৩০ মিনিটে রোনালদোর স্পট কিকে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। ডি-বক্সে উড়ে আসা বল পাঞ্চ করে ফেরাতে গিয়ে দানিলো পেরেইরার মুখে লরিস আঘাত করলে পেনাল্টি পায় শিরোপাধারীরা। গোলরক্ষককে হলুদ কার্ডও দেখান রেফারি। অবশ্য পেরেইরার মুখে আঘাত করার আগে বলে হাত লাগিয়েছিলেন লরিস, সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রবল আপত্তি জানায় ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা। ফ্রান্সের বিপক্ষে এটিই রোনালদোর প্রথম গোল। আসরে তার মোট গোল হলো চারটি, ইউরোর ইতিহাসে রেকর্ড ১৩টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইরানের আলি দাইয়ের ১০৯ গোলের বিশ্ব রেকর্ড ছোঁয়ার পথে আরেক ধাপ এগোলেন তিনি, তার গোল হলো ১০৮টি। বিরতির আগে বেনজেমার সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। এই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। ডি-বক্সে ঢোকার মুখে নেলসন সেমেদোর বাধায় এমবাপে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। প্রতিবাদ জানায় পর্তুগাল, তবে ভিএআরেও সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ধারাভাষ্যকারদের কাছেও সিদ্ধান্তটি ছিল অবাক করার; টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় একটু যেন সহজেই পড়ে গিয়েছিলেন পিএসজি তারকা। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে ভাসে ফ্রান্স। পগবার উঁচু করে বাড়ানো দারুণ থ্রু বল ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বেনজেমা। প্রথমে অফসাইডের পতাকা উঠলেও ভিএআরের গোলের সিদ্ধান্ত আসে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply