নিজ সংবাদ ॥ “কুষ্টিয়ার মিরপুরে গ্রামীন সড়ক উন্নয়নে নি¤œমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে তড়িঘড়ি করে রাস্তার কার্পেটিং করায় ১৫ দিনেই কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে গেছে পিচের রাস্তাটি। স্থানীয়দের অভিযোগ নি¤œমানের ইটের খোয়া আর নামমাত্র পিচ ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানকে ম্যানেজ করেই ঠিকাদার এমন দায়সারা কাজ করেছে।” স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিনে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সদরপুর জিসি-আলমডাঙ্গা আরএন্ডএইচ সড়ক (চেঃ ০০-৬০৫ মিঃ) প্রস্তস্থ করণ কাজের জন্য (ইজিপি আইডি- ৬০৭২৪৭) এর টেন্ডার দেওয়া হয়। যার প্রাক্কলিত মুল্য নির্ধারণ করা হয়- ৪৬ লাখ ৪ হাজার ১৯ টাকা। চুক্তিমুল্য হয় ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৮ টাকা ৫ পয়সা। কার্যাদেশ হয় ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর। কাজটি শুরু হয় ২৩ নভেম্বর ২০২১। এবং শেষ হয় ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি। কাজটির ঠিকাদারী কার্যাদেশ পাই কুষ্টিয়ার থানাপাড়ার মেসার্স শামীম এন্টার প্রাইজ এর প্রোপাইটার এস. এম শামীম। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নি¤œমানের কার্পেটিং করা হয়েছে। যা হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে। এক দিনের বৃষ্টিতেই কয়েক জায়গায় রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। সড়কে পানি নিস্কাসনের জন্য কালভার্টের দরকার হলেও ভাঙ্গা কালভার্টটি কোনরকম জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে সরু পাইপের মতো কালভার্ট তৈরী করা হয়েছে। খুবই নি¤œমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে কিছু কিছু স্থানে উঁচু নিচু হয়ে গেছে নতুন এই রাস্তার। ৪০ মি.মি কার্পেটিং করার কথা থাকলেও অভিযোগ রয়েছে ২৫ মি.মি কার্পেটিং করা হয়েছে। এদিকে কাজের কোন বিলবোর্ড কোথাও দেয়নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের অভিযোগ যাদের এই কাজটি তদারকি করার কথা তারা শুধু এসে ফটোসুট করে চলে গেছে। নিয়মিত তদারকি করতে আসেনি। নি¤œমানের এ রাস্তা টেকসই হবে না এমনটা অভিযোগ করে স্থানীয়রা। সদরপুর বাজারের ব্যবসায়ী মাসুম জানান, “নাম মাত্র পিচ দিয়ে রাস্তা করলে যা যায়। ঠিকমতো রোলিং না করাই পিচ দিয়ে গেছে। যার ফলে পিচ হাত দিয়েই উঠে যাচ্ছে। পূর্বের রাস্তা এর চেয়ে টেকসই ছিলো। দুধ বিক্রি করে ঘোল কেনার মতো অবস্থা। আমরা সাধারণ মানুষ। শুধুমাত্র দেখা ছাড়া তো কিছু করার থাকে না। যারা দেখার দায়িত্বে তারা অফিসেই বসে থাকে। তবে এমন কাজের ফলে সরকারের বদনাম হয়।” মিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান জানান, “উপজেলার মিরপুর উপজেলাধীন সদরপুর জিসি-আলমডাঙ্গা আরএন্ডএইচ সড়ক (চেঃ ০০-৬০৫ মিঃ) প্রস্তস্থ করণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজের মান সবই ঠিক ছিলো কিন্তু কার্পেটিংটা সঠিক মানের হয়নি।” পিচের কার্পেটিং লেয়ার কম উল্লেখ করে তিনি জানান, “এটার এখনো বিল দেওয়া হয়নি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি এটা অনুমোদন দেয় তাহলে বিল পাবে, না হলে আবার সঠিকভাবে কার্পেটিং করতে হবে।” কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলো মেসার্স শামীম এন্টার প্রাইজ। তবে তিনি কাজটি মিঠু নামের এক ঠিকাদারের কাছে কাজটি বিক্রি করে দেন। ঠিকাদার মিঠু কাজটি বাস্তবায়ন করে। ঠিকাদার মিঠুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, “কাজের মান ঠিক থাকার কথা। তবে যেহেতু ভেঙ্গে যাচ্ছে তো গিয়ে দেখবো। আর অনেকগুলো কাজ পেন্ডিং থাকার কারণে কাজ করতে দেরি হয়ে গেছে। ঈদের আগে কাজটি শেষ হয়ে গেছে।” মিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানান, “নি¤œমানের কাজ হয়েছে এমন কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। আর কাজ এখনো শেষ হয়নি।
Leave a Reply