ঢাকা অফিস ॥ আগামী ২১ জুলাই দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে করোনাভাইরাস মহামারি বিস্তার রোধে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। গতকাল সোমবার এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে। তবে কোন কোন বিষয়ে শিথিলতা আসবে সেই বিষয়ে তথ্যবিবরণীতে কিছু বলা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগামী ১৫ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। একইসঙ্গে খুলবে দোকানপাট-শপিংমল, সেক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে সরকার। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সাধারণ মানুষের আর্থিক দিক বিবেচনায় নিয়ে সরকার চলমান লকডাউন মেয়াদ ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সামনে কোরবানির ঈদ। বসবে পশুর হাট। মানুষ কোরবানির পশু কিনতে বাজারে যাবে। তাই এই সময়ে লকডাউন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মেই এটি বড় ধরনের চাপ। কোন কৌশলে মানুষকে লকডাউনের মধ্যে কোরবানির ঈদ উদযাপন করানো যায় এবং সামান্য কিছু মানুষকে দিয়ে কোরবানির পশু কেনানো যায় সে বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের তৃতীয় সপ্তাহ খুবই জরুরি। গত দুই সপ্তাহের লকডাউনের অর্জন নির্ভর করছে তৃতীয় সপ্তাহের কার্যক্রমের ওপর। সব দিক দিয়েই ১৪ তারিখের পর থেকে পরবর্তী সাতদিন অর্থাৎ কোরবানির দিন ২১ জুলাই পর্যন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার এবার আরও কঠিন বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ভেবেচিন্তে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিতে চায় বলে গত রোববার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কিছুই বলা ঠিক হবে না। ১৪ জুলাইয়ের পরও সরকারি বিধিনিষেধ (লকডাউন) থাকছে কিনা – সেটি বিদ্যমান পরিস্থিতি কঠিনভাবে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যাই হোক এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা জারি করা হবে মঙ্গলবার। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এক সভা শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গ্রামের গরীব মানুষ যারা সারাবছরে পালিত পশু বিক্রির জন্য কোরবানির এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে, সেদিকটি বিবেচনায় নিয়ে চলমান লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবতে পারে। এদিকে লকডাউনের মেয়াদ যে ১৪ জুলাইয়ের পরেও বাড়ছে তার ইঙ্গিত দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত ভার্চুয়ালি পদ্ধতিতে পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে গত রোববার ১১ জুলাই দুপুরে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply