ঢাকা অফিস ॥ পৃথিবী নজিরবিহীন এক মহামারীর কবলে পড়ার পর পেরিয়ে গেছে দেড় বছর; এই সময়ে করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে অন্তত ৪০ লাখ মানুষের প্রাণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দুঃখজনক মাইলফলকে পৌঁছানোর খবর দিয়ে সতর্ক করেছে সেইসব ধনী দেশকে, এশিয়ায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও যারা বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা করছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এ সঙ্কটের শুরু থেকে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে নিয়মিত যে টালি প্রকাশ করে আসছে, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২১ মিনিটে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৪১ জনে পৌঁছায়। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে তিন মহাদেশের মাত্র তিনটি দেশে। এই তালিকার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষ, যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর ১৫ শতাংশ। ব্রাজিলে ৫ লাখ ২৮ হাজার এবং ভারতে ৪ লাখ ৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে সরকারের খাতায়। বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ১৮ কোটিতে। এর ৪৪ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত আর ব্রাজিলে। ৩ কোটি ৩৭ লাখ শনাক্ত রোগী নিয়ে এ তালিকাতেও সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে। বিশ্বের অনেক দেশে এখনও করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর অনেক তথ্যই এ হিসাবের বাইরে থেকে গেছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ২০১৯ সালের শেষে নতুন এক করোনাভাইরাসের প্রকোপের কথা বিশ্বকে জানিয়েছিল চীন। সেখানে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছিল ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি, নতুন এক করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল চীন। সেই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায় ২৯ সপ্টেম্বর। এরপর ২০ লাখে পৌঁছায় এ বছর ১৬ জানুয়ারি। কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ঠিক এক বছর পাঁচ দিন। তা দ্বিগুণ হতে ছয় মাসও লাগল না।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply