ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ একদিকে টোকিও অলিম্পিক গেমস বাতিলের আহ্বান অন্যদিকে গেমস আয়োজনের কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী জুলাইয়ে জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের আসর বসবে। এই গেমস হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু করোনার কারণে সেটি হয়নি। এ বছর হবে। তবে গেমস নিয়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। অটল অবস্থানে আইওসি। টোকিও অলিম্পিক গেমস শুরুর আগে গেমস ভিলেজের ক্রীড়াবিদদের অন্তত ৮০ শতাংশের টিকাকরণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী আইওসির প্রধান টমাস বাখ। এর ফলে নিরাপদে অলিম্পিক আয়োজনে সুবিধা হবে বলেও মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, গেমস ভিলেজে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আইওসির প্রধান। করোনা সংক্রমণের আবহে সম্প্রতি টোকিও সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন বাখ। অলিম্পিক নিয়ে জাপানের নাগরিকদের প্রতিবাদ প্রতিদিনই নতুন মাত্রা পাচ্ছে। যদি সুষুমভাবে গেমস আয়োজনের আশা ছাড়ছেন না তিনি। এ ক্ষেত্রে টিকা বড় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বাখ। তার কথায়, গেমস ভিলেজকে নিরাপদ স্থান বানানোই লক্ষ্য। অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক নিরাপদে আয়োজন করা হবে। আপাতত ভিলেজের সম্ভাব্য ক্রীড়াবিদদের ৭৫ শতাংশই টিকাকরণের আওতায় চলে এসেছে। হয় টিকা নিয়েছেন, নয়তো শিগগিরই নেবেন। আশা করছি, অলিম্পিক শুরুর আগে এই সংখ্যাটা ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। রাজধানী টোকিওসহ জাপানের বিভিন্ন প্রান্তে মে মাসের শেষদিন পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আইওসি প্রধানের এসব কথা আগেই সম্প্রতি টোকিওর চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে প্রায় ৬ হাজার ডাক্তার গেমস বাতিল করার দাবিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে। যদিও তাদের আশঙ্কা অমূলক বলে মনে করছেন আইওসি প্রধান বাখ। তার যুক্তি, এরইমধ্যে জাপানে অলিম্পিকের একাধিক টেস্ট ইভেন্ট হয়েছে। সেখানে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা কোয়ারেন্টাইন, প্রতিদিন কোভিড টেস্ট, গণপরিবহন এড়িয়ে চলা, স্থানীয় নাগরিকদের থেকে দূরে থাকার মতো বিভিন্ন নির্দেশিকা কড়াভাবে মেনে চলেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে অ্যাথলিটরা ভবিষ্যতেও এই নির্দেশ মেনে চলবেন। এমনকি টেস্ট ইভেন্ট থেকে সংক্রমণ ছড়ায়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। টোকিও মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে এই সংগঠনে প্রায় ৬ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের বক্তব্য, টোকিওর হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে ভরা। গ্রীস্মকালে মৌসুমী রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। তখন চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। সার্বিক পরিস্থিতিতে অলিম্পিক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। জাপানের দুই তারকা টেনিস প্লেয়ার কেই নিশিকোরি এবং নাওমি ওসাকা অলিম্পিক স্থগিতে মত দিয়েছেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply