ঢাকা অফিস ॥ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটটি মামলায় জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদের আদালত। মঙ্গলবার পিটিআই প্রধানের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৮ জুন পর্যন্ত ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করেন। এর মামলাগুলোতে গ্রেফতারের আশঙ্কা করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার টুইটারে ইমরান বলেন, আমি জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ যদি আপনারা সহিংস হয়ে ওঠেন, তারা আবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আরও একটি সুযোগ পেয়ে যাবে। আমাদের সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইমরান খানকে গ্রেফতার নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠে পাকিস্তানের রাজনীতি। পরে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন ডটকম জানিয়েছে, সব মামলায় জামিনে থাকলেও তার গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা ‘খুব বেশি’ বলে শঙ্কা পিটিআই চেয়ারম্যানের। তিনি বলেছেন, “প্রয়োজনীয় সবগুলো ক্ষেত্রেই জামিন পেয়েছি আমি কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে তারা আমাকে আবার গ্রেপ্তার করতে পারে।” ইমরান বলেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ একটি মৌলিক অধিকার আর লোকজনকে অহিংস বিক্ষোভ করতে দিতে কেউ বাধা দিতে পারবে না এমনকি তা সামরিক বাহিনীর প্রধানের সদরদপ্তরের সামনে হলেও। সরকার সংলাপে আগ্রহী নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি; বলেন, আলোচনার পরিবেশ যেন না থাকে তার জন্য ‘পূর্ব পরিকল্পনা’ করেই দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, তার দল সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছে কিন্তু তারা (সরকার) নির্বাচনে আগ্রহী না। “আলোচনার জন্য আমরা আমাদের দল তৈরি করেছি, কিন্তু তারা আমাদের নেতাদের জেলে ভরেছে। এর মানে সংলাপ যেন ফলপ্রসূ না হয় সেই পরিকল্পনা আগেই করে রাখা হয়েছিল।” সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই বলে আবারও দাবি করে ইমরান বলেন, “তবে আমি শুনেছি যে অন্য দিক থেকে পার্থক্য আছে, হয়ত আমার বিরুদ্ধে তাদের কিছু আছে। তবে তা কী আমি জানি না, তারাই ভালো জানে।” পিটিআই নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে চলমান দমনপীড়নকে হিটলারের নীতির পরিষ্কার প্রতিরূপ দাবি করে তিনি ইসলামাবাদের পিডিএম সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে অভিহিত করেন। পরাজয়ের আশঙ্কায় সরকার নির্বাচনের নাম নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply