1. admin@andolonerbazar.com : : admin admin
  2. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

আমের গুটি ঝরা রোধে করণীয়

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

 

কৃষি প্রতিবেদক ॥ আম গাছে প্রতি মুকুলে ১-৬ হাজারটি পর্যন্ত পুরুষ ও স্ত্রী ফুল থাকে। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে প্রতি থোকায় জাতভেদে ১-৩০টি গুটি ধরতে দেখা যায়। গুটি আসার ২৫-৫০ দিনের মধ্যে প্রতি থোকায় মাত্র এক-দুটি গুটি থাকে। বাকি গুটি প্রাকৃতিক বা অভ্যন্তরীণ কারণে ঝরে যায়। তবে কোনো কোনো মুকুলে ৪-৫টি আম ধরতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে আমের আকার ছোট হয়। অতিরিক্ত গুটি ঝরে না পড়লে আমের আকার ছোট হয়। এতে আমের গুণগতমান ও ফলন কমে যায়। প্রতিটি মুকুলে একটি করে গুটি থাকলে আমের বাম্পার ফলন হয়। প্রতি মুকুলে আমের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ফুল ফোটার ১০-২০ দিন পর ২ বার ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম হারে বোরিক অ্যাসিড ¯েপ্র করলে ভালো হয়। এ ছাড়া সব ফুল ফোটা অবস্থায় জিবেরেলিক অ্যাসিড প্রতি লিটার পানিতে ৫০ মিলিগ্রাম হারে  ¯েপ্র করলে গুটি ঝরা কমে যায়। মাটিতে রসের অভাব হলেও গুটি ঝরে। মার্চ-এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাটিতে এ অভাব দেখা দেয়। ফলে বোঁটায় তাড়াতাড়ি নির্মোচন স্তর গঠিত হয়। তাই গুটি ঝরে যায়। রসের অভাবে আমের গুটি ঝরে গেলে গাছের চারপাশে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। আমের গুটি মটরদানার মতো হলেই প্রথমে একবার গাছের গোড়ায় সেচ দিতে হবে। প্রথম সেচ দেওয়ার পর থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন পরপর সেচ দিতে হবে। সেচের পাশাপাশি হরমোন প্রয়োগ করেও আমের গুটি ঝরা কমানো যায়। আমের গুটি মটরদানার মতো হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার অথবা প্রতি ৪.৫ লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার হারে প্লানোফিক্স হরমোন পানিতে মিশিয়ে হালকা সূর্যের আলোয় আমের গুটিতে ¯েপ্র করলে গুটি ঝরা কমে যায়। গুটি আসার পর প্রাথমিক পর্যায়ে হপার পোকার আক্রমণ হতে পারে। এ পোকার পূর্ণবয়স্ক মথ ও কিড়া গুটির রস শোষণ করে খায়, ফলে আমের গুটি শুকিয়ে ঝরে যায়। তাই গুটি মটরদানার মতো হলেই কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক একসাথে পানিতে মিশিয়ে গুটিতে ¯েপ্র করতে হবে। আবার গুটি মার্বেল আকৃতির হলে ফল ছিদ্রকারী পোকা আক্রমণ করতে পারে। এ  ক্ষেত্রে পূর্ণবয়স্ক পোকা আমের নিচের অংশে খোসার ওপরে ডিম পাড়ে। কয়েক দিনের মধ্যে ডিম ফুটে লার্ভা বের হয় এবং লার্ভা খুব ছোট বিন্দুর মতো ছিদ্র করে আমের ভেতর ঢুকে পড়ে। প্রথমে শাঁস ও পরে আঁটি খাওয়া শুরু করে। পরে আক্রান্ত স্থান কালো হয়ে যায় এবং কোনো কোনো সময় আম ঝরে পড়ে। এ সমস্যা  দেখা দিলে আমবাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এমনকি গাছের মরা ডালপালা ছেঁটে ফেলতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com