নিজ সংবাদ ॥ তীব্র তাপপ্রবাহ আর ঝড়বৃষ্টিতে কিছু ফসল নষ্ট হলেও বড় ধরনের দুর্যোগ না হওয়ায় সিংহভাগ ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি কুষ্টিয়া অঞ্চলের কৃষক। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে হারভেস্টার মেশিন ব্যবহারে এরই মধ্যে ৮৬ভাগেরও বেশি ধান কর্তন সম্ভব হয়েছে। ফলে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়নি। মাঠে মাঠে পরিবার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। প্রতিটি গ্রামেই নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেতেছে পরিবারের শিশু কিশোরসহ বয়স্করাও। এ জেলায় মাঠজুড়ে চলছে ধান কাটা-মাড়াইয়ের উৎসব। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আলামপুর এলাকার কাথুলি মাঠে বোরো ধান কর্তন উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষকের ধান কেটে ‘ধান কর্তন’ উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের কুষ্টিয়ার উপপরিচালক আরিফুজ্জামান।
এসময় শ্রমিক সংকট দূর করতে ভর্তুকি মূল্যে সাইফুল ইসলাম নামে এক কৃষককে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়। পরে ওই এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের কুষ্টিয়ার উপপরিচালক আরিফ-উজ-জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল, আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমানুর রহমান প্রমুখসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, বোরো মৌসুমে জেলায় ধান চাষ হয়েছে ৩৬হাজার ৬’শত ৩০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। এতে খুশি এ অঞ্চলের কৃষক। অন্যদিকে শ্রমিক সংকট দূর করতে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকরা। এ ক্ষেত্রে জেলায় পর্যাপ্ত কম্বাইন হারভেস্টার থাকলে দুর্ভোগ কমতো বলে মনে করছেন তারা।