1. admin@andolonerbazar.com : : admin admin
  2. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা : আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত শ্রমজীবি মানুষের মাঝে রোটারী ক্লাব অফ কুষ্টিয়া ওয়েস্টে’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ দৌলতপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সন্তান সংসদ ও অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের উদ্যোগে স্যালাইন বিতরণ ভেড়ামারা প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ সমাপ্ত, জমে উঠেছে ভোটের মাঠ কুষ্টিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত দুই দৌলতপুরে পৃথক অগ্নিকান্ডে ২টি বাড়ি পুড়ে গেছে দৌলতপুরে কল আছে জল নাই : বিপাকে জনজীবন গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসজনিত বিদায় অনুষ্ঠান কুষ্টিয়ায় মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় ডিসি এহেতেশাম রেজা :  শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কুষ্টিয়ায় যুবকের ২ বছরের কারাদন্ড

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

 

ঢাকা অফিস ॥ কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই আমরা চলব। কৃষির উন্নয়ন সমবায় পদ্ধতি চালু করতে পারলে আমাদের খাদ্যের অভাব থাকবে না।” শুক্রবার কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “একটা সময় ছিল যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল-ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন সেসব মানুষ মাছ-মাংস ডিমের চাহিদা নিয়েও চিন্তা করে। এতো কিছু করার পরও যারা সরকারের সমালোচনা করে তাদের উচিত এসব বিষয় ভেবে দেখা। এসব বিবেচনা করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, বরং মাছ-মাংসের দাম নিয়ে চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।” আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কৃষক লীগ নেতাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বলেন, “কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করতে হবে। এটা করতে পারলে এবং যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে জীবনেও কোনো খাদ্যের অভাব হবে না। জাতির পিতার দেখানো পথে সমবায় কৃষি নিশ্চিত করা হলে দেশে কখনো খাদ্যের অভাব হবে না।” সরকারপ্রধান বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই লক্ষ্য মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করা। সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে সেজন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা ছিল, তাদের মূল আগ্রহ ছিল ব্যবসা করা। যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করলেও দেশের মানুষের জন্য কিছু করেনি।” কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে পারলে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। তাই যার যতটুকু জমি আছে তাতেই চাষ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করব।” বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা অপরাধ করেছে, তাই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে (বিএনপি) সব জায়গায় কান্নাকাটি করে বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার কথা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কিসের মামলা… অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলাÑ তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে। বাস, লঞ্চ, রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কী হবে? ওদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা তো পলিটিক্যাল মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা। তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে, ২৮ অক্টোবর যে ঘটনা তারা ঘটালো নির্বাচন ঠেকাতে যেয়ে, রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে। যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো তাদেরকে মানুষ পূজা করবে? এসব মামলা দ্রুত শেষ করে শাস্তি দিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ প্রধান। আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ না দেখে বিএনপি এখনো কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না দেখে তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপরও বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।” বিরোধী দলে থাকার সময়ের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ অফিসে তো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কীভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করি নাই। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।” সারাদেশের জেলের সব অপরাধীই বিএনপির কিনা এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, “তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে ৬০ লাখ লোক তাদের গ্রেপ্তার, ৬০ লাখ তো ধারণক্ষমতাও নাই জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক, এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।” বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে তারা চিৎকার করে তাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। কী অত্যাচার হচ্ছে তাদের ওপর? জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচারের যে স্টিম রোলার চালিয়েছিল, যেভাবে হত্যা করেছিল, খালেদা জিয়া আসার পরে ২০০১ এর নির্বাচনের পর কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ঘরে থাকতে পারেনি। “ধরে নিয়ে যেভাবে অত্যাচার করেছে এবং আমাদের কতগুলো নেতাকে মেরে ফেলে দিল, আহসানউল্লাহ মাস্টার থেকে শুরু করে আমাদের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। …ওরা শুধু আওয়ামী লীগ না, ওরা মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে।” প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু। ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com