1. admin@andolonerbazar.com : : admin admin
  2. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা : আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত শ্রমজীবি মানুষের মাঝে রোটারী ক্লাব অফ কুষ্টিয়া ওয়েস্টে’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ দৌলতপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সন্তান সংসদ ও অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের উদ্যোগে স্যালাইন বিতরণ ভেড়ামারা প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ সমাপ্ত, জমে উঠেছে ভোটের মাঠ কুষ্টিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত দুই দৌলতপুরে পৃথক অগ্নিকান্ডে ২টি বাড়ি পুড়ে গেছে দৌলতপুরে কল আছে জল নাই : বিপাকে জনজীবন গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসজনিত বিদায় অনুষ্ঠান কুষ্টিয়ায় মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় ডিসি এহেতেশাম রেজা :  শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কুষ্টিয়ায় যুবকের ২ বছরের কারাদন্ড

দক্ষিণাঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার : পানির স্তর নেমে যাওয়ায় শুস্ক মৌসুমে পানি শুন্য কুষ্টিয়া

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

 

 

কুমারখালী প্রতিনিধি ॥  কুষ্টিয়ার মাঝে প্রবাহিত অপরূপ প্রমত্ত গড়াই নদী আজ প্রায় মৃত অবস্থা। বসন্ত শেষ হতে না হতেই পানির খুব একটা অস্তিত্ব নেই কুষ্টিয়ায় প্রবাহিত গড়াই নদীতে। প্রমত্তা গড়াই এখন পরিনত হয়েছে ছোট খালে। সেই সাথে নেমে গেছে পানির স্তর। এর প্রভাবে পৌর এলাকাসহ কুষ্টিয়া জেলার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ নল কুপে উঠছে না পানি। এমনকি ও পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নদীর এমন করুন পরিনতির কারনে এখানকার মানুষের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র,  চাষাবাদ, স্বাভাবিক জীবন যাপন পড়েছে হুমকীর মুখে। পানির জন্য চলছে হাহাকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে প্রাকৃতিক এই সমস্যা সমাধানে তাদের কিছুই করার নাই। তবে বৃষ্টি হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে। আর কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ বলছেন- পানির ব্যবস্থা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার দেয়া তথ্য মোতাবেক পৌর এলাকার ২১টি ওয়ার্ডে হোল্ডিং সংখ্যা ৩৭ হাজার, যার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নিজস্ব নলকুপ আছে। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় দেয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের উপরে  নলকুপ। পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারনে এসব এলাকার প্রায় সব নলকুপই হয়ে গেছে অকেজো। যেগুলো কাজ করছে সেগুলোতে পানি উঠছে অতি সামান্য। ১ বালি পানি তুলতে আধাঘন্টারও বেশি সময় লাগছে।  শুধু কুষ্টিয়া পৌর এলাকাই নয়, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলাসহ পাশ্ববর্তি জেলা ও উপজেলাগুলোতেও চলছে পানি সংকট। এলাকায় চলছে পানির জন্য হাহাকার। তবে গড়াই নদীর তীরবর্তী বসবাস কর মানুষের অবস্থা সব চাইতে বেশি খারাপ। পানির সংকট এতটাই প্রকট যে খাবার পানির পাশাপাশি গোছল এবং গবাদি পশুর জন্য পানির ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাওয়া লাগছে। পানির জন্য নদীর চরের প্রায় দেড় দুই কিলোমিটার হেটে যেতে হচ্ছে তাদের। এমন সংকটে এর আগে কখনো পরেননি তারা। গড়াই নদীর উপর অবস্থিত সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতু এবং  গড়াই ব্রীজের নিচে ড্রেজিং করার ফলে কিছুটা পানি প্রবাহ থাকলেও অধিকাংশ পিলার  ধুধু বালির উপর রয়েছে। সাধারণ মানুষ এই গড়াই নদীর অনেক স্থান দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছে। পানি শূন্য এই গড়াই নদী শুধুই  এখন স্মৃতি। ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবেই এই গড়াই নদীর করুন দশা বলে অনেকেই মন্তব্য করছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ফিট নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকুপে উঠছে না পানি। পানি সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা সক্রিয় না থাকায় বিপাকে পরেছে জনজীবন। এমনকি পৌরসভার পক্ষ থেকে যে সাপ্লাই পানির ব্যাবস্থা করা আছে তার উৎপাদন ও অনেক কম। এটি একটি প্রাকৃতিক সমস্যা। বৃষ্টি শুরু হলেই এই সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। আর পানির স্তর এভাবে কমে যাওয়ার পেছনে যত্রতত্র গভীর নলকুপ ব্যবহারকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তারা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নামার সাথে সাথে নদীর পানিওয়াদি শুকিয়ে যায় সেক্ষেত্রে  যেসব নলকুপের লেয়ারকম দেয়া সেসব নলকুপে পানি না ওঠারই কথা। সেক্ষেত্রে নতুন নলকুপ স্থাপনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মাফিক আরো গভিরে লেয়ার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উৎসগুলো থেকে আসা পানি নদীতে সংরক্ষন করা গেলে অনাবৃষ্টি বা শুস্ক মৌসুমে যেমন মিটবে পানির চাহিদা অন্যদিকে বাড়বে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আর এভাবেই সম্ভব এই সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসবে। কুমারখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এমএ উল্লাস বলেন, পানির সংকট এতটাই প্রকট যে খাবার পানির ব্যবস্থা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গোসল এবং গবাদিপশুর জন্য পানি সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মালারানী বলেন, পানির জন্য নদীর চরে প্রায় দেড় দুই কিলোমিটার হেঁটে যেতে হচ্ছে। এমন সংকটে আগে কখনো দেখেননি। যদুবয়রা গ্রামের গৃহিনী সালমা বেগম বলেন, কল থাকলেও তাতে পানি নেই। তার গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই পানির সংকট চলছে। যার কলে পানি উঠছে, সেখানে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আনতে হচ্ছে।  উপজেলা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী আল আলামিন মনে করছেন, যত্রতত্র সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন ও ব্যবহার  বেড়ে যাওয়ার কারণেই পানির এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নামার সাথে সাথে নদীর পানিও শুকিয়ে যায়। এ কারণে যেসব নলকূপে গভীরতা কম সেগুলোতে পানি ওঠে না। তাই নতুন নলকূপ আরো গভীর করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এছাড়া বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পানি সংকটে জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন কুষ্টিয়া- ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ। তিনি জানান, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পিডিসহ উর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছেন। খুব দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com