ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ একদিন পরই যোগ দেবেন টেস্ট দলের সঙ্গে। এর আগে ব্যাট ও বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান, জিতেছে তার দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এদিকে পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরির পরও হেরে গেছে প্রাইম ব্যাংক। সেঞ্চুরি করে আবাহনীকে জিতিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। ডিপিএলের ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১৪০ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। শুরুতে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। জবাবে ১৮০ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ। আবাহনীর হয়ে সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। ১১ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৪ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৯৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন জাকের আলি অনিক। ২৬ বলে ৪৩ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। রূপগঞ্জের কোনো ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরিও ছুতে পারেননি। ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন মাহফিজুল ইসলাম। আবাহনীর হয়ে তিন উইকেট করে নেন মোসাদ্দেক ও নাহিদুল ইসলাম। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টি আইনে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৩৯ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ২৩৩ রান করে শেখ জামাল। বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ২৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় গাজী গ্রুপের। ১৯২ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। এ ম্যাচ ব্যাট ও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। ৬ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৬৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হন সাকিব। শেষদিকে ৪৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন জিয়াউর রহমান। গাজী গ্রুপের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও আব্দুল গাফফার। রান তাড়ায় নেমে সুবিধা করতে পারেনি গাজী গ্রুপ। ৫২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন মঈন খান। শেখ জামালের হয়ে তিন উইকেট তুলে নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ৯ ওভারে গ্রেফ ১৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সাকিব। বিকেএসপির আরেক মাঠে পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরির পরও হেরে গেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। বৃষ্টি আইনে মোহামেডানের কাছে ১ উইকেটে হেরেছে তারা। শুরুতে ব্যাট করে ২৭৯ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। ৪৭ ওভারে ২৭২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় মোহামেডানের। আগে ব্যাট করা প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬ চার ও সমান ছক্কায় ১১১ বলে ১১০ রান করেন পারভেজ ইমন। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয় শতক হাঁকালেন তিনি। ৮৩ বলে ৬৫ রান করেন তামিম। রান তাড়ায় নামা মোহামেডানের হয়ে শুরুতে হাল ধরে রাখেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৯২ বলে ৭৮ রান করে সাকলাইন সজিবের বলে আউট হন তিনি। যদিও মোহামেডানের জয়ের নায়ক আবু হায়দার রনি ও কামরুল ইসলাম। শেষ দুই ওভারে ২৪ রান নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন তারা। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৪ রান করে আউট হন রনি। ১৪ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন কামরুল রাব্বি। বল হাতে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা রনি।