নিজ সংবাদ ॥ পরিবারের কষ্ট দূর করতে বরিশালের রাকিবুল পাড়ি জমান মালয়েশিয়া, তবে কষ্ট বেড়ে হয়েছে আরো দ্বীগুন । ২০১৯ সালের ১৫ ই অক্টোবরে ফেসবুকে পরিচয় হয় কুষ্টিয়া উদিবাড়ি এলাকার মুক্তার হোসেনের মেয়ে সুমাইয়ার সাথে, অল্প অল্প আলাপে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক, পরে তা রুপ নেয় প্রণয়ে, ভালোবাসার টানে দেশে চলে আসে ঐ প্রবাসী, পরে রাকিবুলকে কুষ্টিয়ায় ডাকে সুমাইয়া ও সুমাইয়ার পরিবার। ভালোবাসার টানে রাকিবুল চলে যায় কুষ্টিয়ায় সুমাইয়ার কাছে, এরপর কুষ্টিয়ায় দেখা হয় সুমাইয়া ও সুমাইয়ার পরিবারের সাথে, সুমাইয়ার মা পপি খাতুন বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রবাসী রাকিবুলকে, প্রথমে পরিবার ছাড়া রাকিবুল বিয়েতে আপত্তি জানায় পরে সুমাইয়ার মা জানায় বিয়ের বিষটি গোপন থাকবে পরে ধুম ধাম করে বিয়ে দেওয়া হবে, সুমাইয়ার মায়ের কথামত ২০২২ সালের ৯ ফেব্র“য়ারী তে কুষ্টিয়াতে আসলে সুমাইয়ার মা ও তার বাবা মুক্তার হোসেন নিয়ে যান পোড়াদহে ইয়ার কাজীর অফিসে, ঐ দিনই সেখানে বিয়ে সম্পূর্ন হয় দুজুনের। বিয়ের পর সুমইয়ার মা বাবা রাকিবুল ও সুমাইয়াকে রেখে আসে চৌড়হাস নুর আবসিক হোটেলে, সেখানেই তাদের বাসর হয়, এরপর সুমাইয়ার নানা নানি বাড়িতেও যাওয়া আসা শুরু করে রাকিবুল । এর মাঝে দুজুনের ওরসে সুমাইয়ার গর্ভে সন্তান আসে, ছুটি শেষে রাকিবুল চলে যায় আবার বিদেশে, সুমাইয়া হয়ে ওঠে তখন রাকিবুলের স্ত্রী যার ফলে বিদেশের আয় করা অর্থ বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টে পাঠাতে থাকে সুমাইয়া ও সুমাইয়ার মা পপি খাতুনের কাছে। এ ভাবেই চলতে থাকে তাদের ভালোবাসার জীবন, বিদেশ থাকা অবস্থায় হঠাৎ এ বছরের মে মাসের ১১ তারিখে বিবাহ বিচ্ছেদের তালাক নামা সুমাইয়ার দুলাভাই রাকিবুলের ভাই আব্দুর রাজ্জাকের কাছে কুরিয়ারে মাধমে পাঠায়, এ খবর প্রবাসী রাকিবুল শোনার পরপরই মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতো দিন ধরে প্রেম অতপর বিয়ের নাটক করে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণ অলংকারসহ মোবাইল ফোন, এই প্রতারনার স্বীকার হওয়া রাকিবুল সুমাইয়া ও সুমাইয়ার মা পপিসহ পরিবারের সবার সাথে ফোনে কথা বলতে গেলে তার সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগালীসহ পূনরায় তাদের বিরুদ্ধে কিছু করলে হত্যার হুমকি প্রদান করে সুমাইয়া ও তার মা পপি খাতুন, এবতাবস্থায় রাকিবুলের ভাই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুমাইয়ার বাড়িতে গনমাধ্যমকর্মীরা সুমাইয়ার পরিবারের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে সুমাইয়ার মা পপি খাতুন রেগে উল্টো হুমকি দিতে থাকে। ফেসবুকে সুমাইয়ার পরিবার বিভিন্ন মানুষ দিয়ে রাকিবুলকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি, খুব শীঘ্রইতদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ঐ প্রবাসী সুমাইয়া ও সুমাইয়ার পরিবারের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।