সালেহীন সেলিম বিশ্বাস ॥ আজ আন্দোলনের বাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বৃহত্তর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত সর্বপ্রথম আধুনিক মানের স্থানীয় পত্রিকায় এই অঞ্চলের। বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়াসহ প্রবাসে অবস্থানরত অনেক প্রতিভাবান সাংবাদিকের সৃষ্টি হয়েছে এই পত্রিকা থেকে। ১৯৯১ সালে আমাদের লেখালেখির হাতে খড়ি এই আন্দোলনের বাজার পত্রিকা থেকে। সন্ধ্যার পরে আন্দোলনের বাজার পত্রিকা অফিসে যাওয়া ছিল আমাদের নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক। সেই সময় পত্রিকার সম্পাদক মনজুর এহসান চৌধুরী মিঠু ভাইয়ের নেতৃত্বে একটা শক্তিশালী টিম ছিল পত্রিকা অফিসে। আমার মনে আছে এসএম হালিমুজ্জামান, শামসুল আলম স্বপন ভাই, আনিসুজ্জামান ডাবলু ভাই, নুরুল কাদের দুলাল ভাই সহ আরো অনেকেই এই পত্রিকার বিভিন্ন দায়িত্বে ছিল। পরবর্তীতে বন্ধু আদিত্য শাহীন, বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পরে আরো শক্তিশালী একটি টিম তৈরি হয়েছিল। জাহিদ হাসান, রঞ্জন রিজভীসহ এখন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে দায়িত্বরত অনেক বড় বড় সাংবাদিক এই আন্দোলনের বাজার থেকে তৈরি হয়েছিল। ২০০৪ সালে আমি দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে মিডিয়ার সাথে থাকা আর সম্ভব হয় নাই। ১৯৯৬ সালের পরে কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে যখন চরমপন্থীদের ব্যাপক তান্ডবলীলা চলছিল, সেই সময় কোন হত্যাকান্ড ঘটলে সম্পাদক মিঠু চৌধুরী ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে আসতো। আমরা দুইজনে মিলে হত্যাকান্ডের নেপথ্য কাহিনী পত্রিকায় তুলে ধরতাম। তখনকার সময়ে আমাদের এই লেখা সমগ্র জেলা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
সেই সময়ে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সংবাদ লেখার সাহস খুব কম সাংবাদিকের ছিল কুষ্টিয়াতে। এখন পর্যন্ত সাহসিকতার সেই ধারাবাহিকতা আন্দোলনের বাজার পত্রিকা ধরে রেখেছে বলে আমি মনে করি। আরেকজনের নাম বাদ পড়েছে ছোট ভাই শৈবাল আদিত্য রিপন সবসময় আমাদের সাথেই এই পত্রিকাতেই লেখালেখি করত। বর্তমান সময়ে পত্রিকার সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু নেতৃত্বে আন্দোলনের বাজার পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মনজুর এহসান চৌধুরী মিঠু ভাই প্রবাসে থেকেও সব সময় পত্রিকার ভালো-মন্দ খোঁজখবর নিয়মিত নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমরা যে লেখালেখির প্রেরণা তার মাধ্যমে পেয়েছিলাম সেজন্য তার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রেসরিলিজ লেখার সাথে জড়িত ছিলাম। আমি আজকের এই দিনে আশাবাদ ব্যক্ত করছি আন্দোলনের বাজার তার অতীত ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে সামনের দিনগুলোতে কুষ্টিয়াবাসীর জন্য সংবাদপত্রের জগতে এক অনন্য ভূমিকা পালন করবে। যা অনেকের জন্য অনুকরণীয় হবে। আন্দোলনের বাজার সাদাকে সাদা বলবে কালোকে কালো বলবে। এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যাবে নতুন নতুন ধারায় নতুন আঙ্গিকে। শুভ জন্মদিন প্রিয় আন্দোলনের বাজার।
লেখক ঃ সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা শাখা।